মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে পৌরসভার হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র দাবি করে বলেন, এর জেরে গত ১৩ মে বিকেলে উপজেলার আওয়ামী কার্যালয়ের সামনে এমপির এপিএস সেলিম সরকার দলবল ও প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের উপর হামলা করে দলীয় নেতাকর্মীদের আহত করে। আবার আমাকেই আসামি করে দুইটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। 

 

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের অধীনে পৌরসভার যেকোন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এমপির ডিও লেটারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তিনি কোন প্রকার ডিও লেটার প্রদান করেননি। এতে পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত কারণের ক্রোধ সংবরণের অনুরোধও জানান পৌর মেয়র। সেই সাথে এমপির ডিও লেটার না দেওয়ার কারণে পৌরসভার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

 

মেয়র রেজার দাবি, বেলকুচিতে কতিপয় ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে আহত করছে, তারা মামলা করলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের প্রতি ওসির পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং উপজেলার আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ওসির অপসারণ দাবি করছি।

 

এদিকে মেয়রের অভিযোগকে মিথ্যা উল্লেখ করে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার দিন পৌর ছাত্রলীগ সেদিন একটি বিক্ষোভ করছিল। এ সময় মেয়রের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষকে দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেই। তিনি বলেন, আমাদের সহোযোগীতার বিষয়ে মেয়রের বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা। 

 

এর আগে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস বলেন, ‘সেদিন দলীয় কার্যালয়ে কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিলো না। তবে কেউ যদি ব্যক্তিগত কোন প্রোগ্রাম করে তবে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।’ বেলকুচি-চৌহালী আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল দেশের বাইরে অবস্থান করার জন্য তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ ইকবাল রানা, কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, তারেক সরকার, মহিলা কাউন্সিলর স্বর্ণা পারভিন, নার্গিস বেগম উষাসহ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা।